পঞ্চায়েত এর উপর আস্থা নেই , চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কার করছেন এলাকাবাসী ভাতারে

7th July 2020 11:55 am বর্ধমান
পঞ্চায়েত এর উপর আস্থা নেই , চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কার করছেন এলাকাবাসী ভাতারে


আমিরুল ইসলাম ( ভাতার ) :  পূর্ব বর্ধমান জেলার  ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলডাঙ্গা গ্রামের মানুষজন দীর্ঘ ১০ বছর বহু কষ্ট করে যাতায়াত করছেন । তারা আশা করেছিলো গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে হয়তো তাদের গ্রামের রাস্তা ঢালাই রাস্তায় পরিণত হবে। কিন্তু দশ বছর আশা করে নিরাশা হয়েছেন গ্রামবাসী । এবছর অনেক আগেই এসেছে বর্ষা। প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে এর ফলে গ্রামের রাস্তার অবস্থা বেহাল। তাই আর তারা থেমে না থেকে গ্রামের মানুষ চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কারের এগিয়ে এলো । গ্রামবাসী অভিযোগ তুলেন দীর্ঘ ৭ বছর ধরে তাদের গ্রামে ১০০ দিনের কাজ হয়নি।
২০১৩ সালে মাত্র ১৪ দিন কাজ হয়েছিল তাও ১০০ দিন হয়নি। তাই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর আস্থা হারিয়ে নিজেরাই চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কারে এগিয়ে এলেন।
গ্রামের বাসিন্দা ছোট্টু প্রমানিক জানান আমরা আমাদের গ্রামের রাস্তা বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত ,ব্লক অফিস ও বিধায়ক সাহেবকে জানিয়েছিলাম কোনো ফল হয়নি। তাই অবশেষে না থাকতে পেরে আমরা নিজেদের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার করতে শুরু করলাম। ২০১০ সালে একবার রাস্তায় মোরাম দেয়া হয়েছিল তারপর থেকে গ্রামের রাস্তার কোন কাজ হয়নি।
এর আগেও আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখেছিলাম ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের উদ্যোগে কাজ হচ্ছে। তাই গ্রামের মানুষজন ঠিক করে আমরাও নিজেদের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার করব তাই আজ রাস্তা সংস্কার হচ্ছে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পরেশ চক্রবর্তী জানান, ওই গ্রামের রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ শুনেছি। কিন্তু গ্রামের মানুষজন ও পঞ্চায়েত সদস্য আমাকে বলেছিল গ্রামের মাঠ যাওয়ার জন্য তাদের একটি ব্রিজ করে দিতে হবে। তাই ব্রিজটা তৈরি হবে নতুন কাজের ধরানো আছে।  কিন্তু পরবর্তীতে গ্রামের মানুষজন বলে গ্রামের রাস্তা সংস্কার করতে হবে কিন্তু নতুন করে কোন স্কিম না এলে গ্রামের রাস্তা করা যাবে না।
 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।